@মাটির যার /পাত্র ঘামে কেন ?
অনেকেই বলছেন এই কথাটা। সকালে ঘুম থেকে উটে দেখি জগের নিচ ভেজা। এইটা লিক নয়। একবার ভাবেন যদি লিক হত ১২ ঘন্টায় সব পানি পড়ে যাবার কথা।
মাটির পাত্র ঘামে এইটা খুব স্বাভাবিক । কারণ মাটির পাত্র পানি চুসে নেয় প্রচুর। আমি বাস্তব অবিজ্ঞতা থেকে বলছি এই মাটির যার আমি কোন প্রসেস করিনি। করার দরকার হবে না। দুই তিন মাস পর এমনিতেই ঘামটা কমে যাবে । এতদিন লাগবে না। ১ মাসেই দেখবেন আর ঘামছে না।
১. মাটির পাত্রের পানি আপনাকে তৃপ্তি দিবে। প্রথম ঠান্ডা হতে ১০/১২ ঘন্টা লাগতে পারে।
২. মটকা ঘেমে ফোঁটা ফোঁটা পানি পড়বে, এইটা স্বাভাবিক তা দেখে ঘাবড়াবেন না , এর জন্যই পানি অনেক ঠান্ডা থাকে। নিচের হোল্ডারে পানি জমে যাবে , ঐটা ভর্তি হতে ২/৩ দিন সময় লাগতে পারে। নিচের পানিটা ফেলেদিবেন।
৩. মটকা ভীম বার দিয়ে ক্লিন করবেন না , মাসে একবার , একটা রাফ কাপড় দিয়ে ভিতর বাহির ক্লিন করলেই হবে।
৪. মাসে একবার ক্লিন করার পর রোদে ভাল ভাবে শুখিয়ে নিবেন।
৫. একটা সুতি কাপড় পানির জার এর উপর ফেলে রাখতে পারেন, এতে করে সবসময় ঘামের কারণে জে মরিচার মত হয় তা থেকে বাচা যায়।
নিজের যত্ন নেই সবাই ফ্রিজের পানি এড়িয়ে চলুন ভাল থাকবেন সবাই।
মাটির পাত্র ব্যবহারের উপকারিতা জেনে নেই
গরম আবহাওয়াতে নিজেকে ডিহাইড্রেট রাখতে বেশি করে পানি পান করা দরকার। এ সময় ঠাণ্ডা পানির চাহিদা বেড়ে যায়। কিন্তু ঠাণ্ডা পানি আমাদের নানা ভাবে ক্ষতি করে। তাই এ সময় ঘরে মাটির পাত্র রাখুন।
প্রাকৃতিকভাবে ঠাণ্ড
মাটির পাত্রে পানি রাখলে স্বাভাবিকভাবে ঠাণ্ডা হয়। এর উপরিভাগে ছোট ছোট ছিদ্র থাকে। যা দিয়ে পানি দ্রুত বাষ্পীভূত হয়। বাষ্পীভবন প্রক্রিয়ার সময় পাত্রের ভিতরের পানি তাপ হারায়। এর ফলে তাপমাত্রা কমে আসে।
কাশি এবং সর্দি প্রতিরোধ করে
সরাসরি ফ্রিজের পানি পান করলে গলা জ্বলতে পারে। গলায় চুলকানি হয়। অন্যদিকে, মাটির পাত্রের পানি গলায় প্রশান্তি দেয়। সর্দি-কাশি প্রতিরোধ করে।
ক্ষারীয় গঠন
আমরা যে খাবার গ্রহণ করি তার বেশিরভাগই শরীরে অ্যাসিডিক হয়ে যায়। মাটির পাত্রগুলি ক্ষারীয় গঠনের হয়ে থাকে। এগুলি পিএইচ ভারসাম্য বজায় রাখে। ফলে অ্যাসিডিটি এবং পাকস্থলীর সমস্যা প্রতিরোধ হয়।